• ডোমেইন ইনভেস্টমেন্ট শুরু করতে হলে, আপনার প্রথম দরকার এই ব্যাপারে সঠিক জ্ঞান অর্জন। আপনি পড়াশোনা না করে, লাখ টাকা নিয়ে শুরু করেও বেশিদূর আগাতে পারবেন না। পড়াশোনা শুরু করতে, পিন পোস্ট ফলো করুন

ডোমেইন কন্ট্রোল প্যানেল

chayan

Staff member
Administrator
#1
আজকের আর্টিকেলে আমরা ডোমেইন কন্ট্রোল প্যানেলের প্রতিটি ফিচার সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব।

ডোমেইন ম্যানেজ অপশন থেকে যে ফিচারগুলো পাবেনঃ
  • Name servers
  • DNS Host Record Management
  • Registrar Lock / Theft Protection
  • Epp Code / Authorization
  • Push Domain
  • Registrant Contact Information
  • Whois Protection
  • Renew
ফ্রিতে কিছু অপশনাল ফিচার থাকতে পারেঃ
  • ফ্রী ইমেল একাউন্ট
  • ফ্রী ইমেইল ফরওয়ার্ডিং সার্ভিস
  • ফ্রিতে লেন্ডার পেজ
  • ফ্রি মাইক্রো ব্লগ সাইট করার সুবিদা
এমন আরো অনেক ফিচার রেজিস্ট্রার কোম্পানি কাস্টমারদের সন্তুষ্ট করার জন্য দেয়। এখন আমরা ডোমেইন কন্ট্রোল প্যানেলের ফিচারগুলো সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব।

Name servers: ডিএনএস সার্ভার এর সাথে ডোমেইন কানেক্ট করার জন্য নেম সার্ভার ব্যাবহার করা হয়। ডিএনএস সার্ভারে থাকা রেকর্ড অনুযায়ী ওয়েব সার্ভার, মেইল সার্ভার, এফটিপি সার্ভার ইত্যাদি সার্ভারে যুক্ত হতে নির্দেশিত করে। ডিএনএস সার্ভার মুলত ঠিক করে দেয় ডোমেইন বা ডোমেইন এর কোন অংশ কোথায় যুক্ত হবে।

DNS Host Record Management: এক্সটার্নাল ( A ) রেকর্ড যা একটি হোস্ট রেকর্ড বা একটি DNS হোস্ট নামেও পরিচিত। আরো সহজ ভাবে বললে, যে সার্ভার এর সাথে ডোমেইন কানেক্ট করা থাকবে, সেই সার্ভার এর DNS Zone ফাইল থেকে ডিএনএস রেকর্ডগুলো ম্যানেজমেন্ট করা যাবে।

উদাহরণস্বরূপঃ আপনি যদি ক্লাউডফ্লেয়ার এর সাথে ডোমেইন কানেক্ট করে রাখেন। তাহলে ক্লাউডফ্লেয়ার থেকেই ডিএনএস হোস্ট রেকর্ডগুলো ম্যানেজমেন্ট করতে পারবেন।

নোটঃ রেজিস্ট্রার কোম্পানিগুলো ফ্রিতে ও প্রিমিয়াম ভাবে ডোমেইন কন্ট্রোল প্যানেলের সাথে ডিএনএস হোস্ট রেকর্ড ম্যানেজমেন্ট করার সুবিদা দেয়।

ডিএনএস হোস্ট রেকর্ড এর বেশ কিছু ফিচার রয়েছে, যেমনঃ (A, AAAA), CNAME, MX, SRV, TXT, CAA, NS, SSHFP ও TLSA রেকর্ড।
  • (A, AAAA) : এই রেকর্ডকে এক্সটার্নাল হোস্টস বলা হয়। A পয়েন্টে IPv4 অ্যাড্রেস হবে এবং AAAA পয়েন্টে IPv6 অ্যাড্রেস হবে।
  • (CNAME) : সিনেম এমন এক ধরনের ডিএনএস রেকর্ড যা একটি Alias নামকে ক্যানোনিকাল ডোমেইন নামে ম্যাপ করে। সিনেম রেকর্ডগুলি সাধারণত সাব ডোমেইন নামের দিকে নির্দেশ করে।
  • (MX) : ইমেইল সার্ভার এর সাথে কানেক্ট করার জন্য এই রেকর্ডটি ব্যাবহার করা হয়।
  • (SRV) : এই রেকর্ড এর মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট গন্তব্য পোর্ট ব্যবহার করা হয়। যা একটি ডোমেইনকে অন্য ডোমেইন নির্দেশ করে। এসআরভি রেকর্ডগুলো নির্দিষ্ট সার্ভিস, যেমনঃ ভিওআইপি বা আইএম একটি পৃথক স্থানে পরিচালিত হওয়ার অনুমতি দেয়।
  • (TXT) : এই রেকর্ড মূলত মানুষের পাঠযোগ্য পাঠ্যের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। এই রেকর্ড গতিশীল এবং বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়। যেমনঃ ইমেইল সিস্টেম ব্যবহার করে সনাক্ত করতে সাহায্য করে, ইমেইল সঠিক উৎস থেকে আসছে কিনা ও ডোমেইন থেকে স্পাম বার্তা ফিল্টার করতে সাহায্য করে। এছাড়া ও ডোমেইন নাম ভেরিফাই করার জন্য ব্যাবহার হয়।
  • (CAA) : CAA রেকর্ডের ফুল মিনিং হলোঃ সার্টিফিকেশন অথরিটি অথোরাইজেশন। এই রেকর্ডের মাধ্যমে ডোমেইনের জন্য SSL/TLS সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়।
  • (NS) : NS রেকর্ডের ফুল মিনিং হলোঃ নেম সার্ভার। এই রেকর্ড এর মাধ্যমে নেম সার্ভার তৈরি করা হয়।
  • (SSHFP) : এটি একটি নিরাপদ শেল ফিঙ্গারপ্রিন্ট রেকর্ড, ডোমেইন সিস্টেম এর এক ধরনের রিসোর্স রেকর্ড যা SSH কীগুলোকে চিহ্নিত করে। SSHFP রেকর্ড এর জন্য DNSSEC- এর মতো একটি মেকানিজমের সাহায্যে সুরক্ষিত করা প্রয়োজন হয়।
আমি ডিএনএস হোস্ট রেকর্ড এর ফিচারগুলো নিয়ে সংক্ষেপে বলার চেষ্টা করেছি। আপনারা একটু কষ্ট করে, গুগলে সার্চ করে বিস্তারিত জেনে নিন।

Registrar Lock: এই অপশন থেকে ডোমেইন এর রেজিস্ট্রার লক ও আনলক করার সুবিদা পাবেন। অন্য রেজিস্ট্রার কোম্পানিতে ডোমেইন ট্রান্সফার করার জন্য রেজিস্ট্রার আনলক করতে হবে। রেজিস্ট্রার লক থাকলে, অন্য রেজিস্ট্রার কোম্পানিতে ডোমেইন ট্রান্সফার করতে পারবেন না।

Epp Code: ইপিপি কোডটি অথোরাইজেশন কোড বা সিক্রেট কোড নামে থাকতে পারে। ডোমেইন ট্রান্সফার করার সময় এই কোডটি ডোমেইন এর পাসওয়ার্ড হিসেবে মালিকানা যাচাই করে।

Push Domain: পুশ মুভের মাধ্যমে ডোমেইন এর মালিকানা পরিবর্তন করা হয়। একই রেজিস্ট্রার কোম্পানির ওয়েব পোর্টালের এক একাউন্ট থেকে অন্য একাউন্টে ডোমেইন পুশ মুভ করা হয়। নোটঃ ডোমেইন পুশ মুভ ফ্রি, যে কোন সময় করা যায়।

Registrant Contact Information: এই কন্টাক্ট ইনফর্মেশনে ডোমেইনটির মালিক এর তথ্য থাকে, যেমনঃ নাম, ইমেইল, ফোন নাম্বার, ঠিকানা ইত্যাদি। এই অপশন থেকে তথ্যগুলো যে কোন সময় পরিবর্তন করা যায়।

Whois Protection: এই সার্ভিস ব্যবহার করলে, ডোমেইন এর মালিকের তথ্য জনসাধারণের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখা হয়। নোটঃ এই সার্ভিসটি অনেক রেজিস্ট্রার কোম্পানি ফ্রিতে দেয়। আবার অনেক রেজিস্ট্রার কোম্পানি এই সার্ভিসটির জন্য ১ থেকে ৫ ডলার প্রতি বছরে চার্জ করে।

Renew: এই অপশন থেকে আপনি যে কোন সময় ডোমেইন রিনিউ করতে পারবেন। সর্বনিম্ন ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত রিনিউ করা যায় এবং অটো রিনিউ সেট করে রাখতে পারেন।

আশা করছি, এই তথ্যগুলো আপনাদের কাজে আসবে। আর্টিকেলটি এখানেই শেষ করছি, আপনারা সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
 
Last edited:
Top